জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিম পাশে লাগোয়া যানচলাচল সড়ক দখল করে কাঁচা সবজি বাজার সহ শুকনো বিভিন্ন দোকানের মালামাল রাখা হয়েছে।ফলে যানচলাচল ব্যাহত,বাজারে আসা পথচারীরা চরম র্দূভোগ পোহাচ্ছে।এমন অভিযোগ বহু পুরানো বলেই শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য দেখার কেউ নেই।
এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিম পাশে লাগোয়া হাসপাতাল টু বাঁশঘাটা সড়ক যেন সবজি বিক্রেতা সহ দু’পাশের বিভিন্ন দোকানীরা মালামাল রেখে অবৈধভাবে দখল করে ফেলেন।যার ফলে যানচলাচল ও পথচারী চলাচলে চরম র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে ।এমন অভিযোগটি পুরানো বলে বাজারের শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব নেওয়ার মত কি কেউ নেই।কয়েকজন সবজি বিক্রেতা ও দোকানীদের সাথে কথা বলে জেনেছি,ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ইজারা উত্তোলন-কারীদেরকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছেন।পথচারী ও যানচলাচলের সমস্যা হলেও এপর্যন্ত কেউ তাদেরকে নিষেধ বা বাঁধা দেয়নি।হঠাৎ আপনি এমন প্রশ্ন করছেন কেন?কি সমস্যা উল্টো জানতে চান ব্যবসায়ীরা!ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,বয়োবৃদ্ধ লোক,প্রসূতি,রোগাক্রান্ত নারী-পুরুষ সহ সাধারণ পথচারীরা চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার।সড়কটিতে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যাম লেগে থাকে।স্বাভাবিক চলাফেরার নিয়মানো শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতমহল।
ঈদগাঁও বাাজার ব্যবস্হাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক রিকু বলেন,ওই সড়ক দখল করা সবজি ও বিভিন্ন দোকানী ব্যবসায়ীরা খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।তারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না।ফলে সড়কটিতে জ্যাম লেগে থাকে।আমরা প্রায় সময় এই ব্যবসায়ীদের কে বাঁধা দিয়েছি,দিচ্ছি।কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনছেন না।অপরদিকে ইজারাদারও ব্যবসায়ীদের থেকে সুবিধা আদায় করার ফলে,তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।তাই জ্যাম নিরসন,যানচলাচল ও পথচারীদের সুবিধায়নের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানার মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।কারণ এবিষয়ে ইউএনও স্যারকে আমরা অনেকবার বলেছি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকারিয়া মহোদয়কে কয়েক ফোন করি।ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।