হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, “হেফাজতে ইসলাম যে তালিকা দিয়েছে, সে তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে নেতাকর্মীরা মুক্তি পাচ্ছেন।” বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী মাদ্রাসার শিক্ষা ভবনে নুরানির তালিমুল কোরআন বোর্ডের প্রশিক্ষণ শেষ করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় সফরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে মাওলানা শাহ আহমদ শফীর কবর রয়েছে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, তার কবর জিয়ারত করবো। আজ কবর জিয়ারত করতে এসেছি।” সরকার কোনো মাদ্রাসা বন্ধ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার কোনো মাদ্রাসা বন্ধ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। এই সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তুলতে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদের উত্থানের পর সবাই বলেছিল, কওমি মাদ্রাসা থেকে জঙ্গিরা আসে। কিন্তু আমরা বলেছিলাম কওমি মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া, সহকারী পরিচালক মুফতি জসিম উদ্দিন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করেন। এরপর মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও হেফাজতের সাবেক মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন। এরপর হাটহাজারী মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়াসহ শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন