1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে বুদ্ধস্নানের মাধ্যমে মৈত্রী বর্ষণ সূচনা লামায় তামাক নিয়ে মারামারি : প্রাণ গেল বৃদ্ধার, আটক ১ পারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা তঞ্চঙ্গ্যা ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’র সাধারণ সভা ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণের অবস্থান কর্মসূচি লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন সংকট

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক ।
কক্সবাজারে প্রায় প্রতিদিনই কুকুর, বিড়ালের কামড়, আঁচড়ের শিকার হচ্ছে লোকজন। তাদের অনেকেই জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) নিতে ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতাল। কিন্তু গত প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে ওষুধের দোকান থেকে ভ্যকসিন কিনতে হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে গরীব-অসহায় লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নতুন বহির্বিভাগ ভবনের দ্বিতীয় তলার ২১৫ নম্বর কক্ষ ঘিরে লোকজনের ভিড়। কুকুর, বিড়ালের আক্রমণের শিকার অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন হাসপাতাল। ওই কক্ষে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা বলে দিচ্ছেন হাসপাতালে এই মুহুর্তে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। তাই বাইরে থেকে কিনে এনে ভ্যাকসিন দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। চারজন মিলে একেকটি ভ্যাকসিন ও সিরিঞ্জ কিনে আনছেন বাইরের ওষুধের দোকান থেকে। এরপর দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পুশ করছেন। এক ঘন্টার কাছাকাছি সময় অবস্থান করে দেখা গেছে, ২০ জনের বেশি নারী-পুরুষ ও শিশু ভ্যাকসিন নিতে ভিড় করেছেন কক্ষটিতে।

এসময় কথা হয় কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী থেকে আসা যুবক রাকিবুল ইসলাম মুন্নার সাথে।
তিনি বলেন, ‘দেড় মাস আগে আমাকে কুকুর কামড়েছে। হাসপাতালে এসে প্রথম দুই ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়েছি। তৃতীয় ডোজ কিনে দিতে হয়েছে। এরপর চতুর্থ ডোজও কিনে দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন সরবরাহ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আমরা চার জন মিলে একটি ভ্যাকসিন ও চারটি সিরিঞ্জ কিনে এনেছি দোকান থেকে। ভ্যাকসিন ও সিরিঞ্জ মিলে ৪৯০ টাকা খরচ হয়েছে। সামর্থ্য কম বলে সরকারি হাসপাতালে আসি। এখানেও যদি ভ্যাকসিন কিনে দিতে হয় তার দুঃখজনক।’
শহরের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা রেশমি মিত্র বলেন, ‘দেড় মাস আগে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির পোষ্য বিড়াল আমার পায়ে আঁচড় দেওয়ায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারপর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ বিনামূল্যে পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ বাইরে থেকে কিনে এনে দিতে হয়েছে। সিরিঞ্জটা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে দাওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন পর আমার সাড়ে তিন বছরের বাচ্চাটার হাতে আঁচড় দিয়েছে একই বিড়াল। এ পর্যন্ত তার ৩ ডোজ ভ্যাকসিনই কিনে দিতে হয়েছে। আজকে (গতকাল বৃহস্পতিবার) তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দিলাম। চারজন ভাগাভাগি করে টাকা দিয়েছি। আমার ভাগে ১২৫ টাকা পড়েছে।’
পূর্ব পাহাড়তলী গ্রামে সাড়ে চার বছর বয়সী শিশু তারেকুল ইসলামকেও ভ্যাকসিন দিতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তার পিতা। তিনি জানালেন, তারেককে বিড়াল আচড় দিয়েছে। এ পর্যন্ত দুই ডোজ ভ্যাকসিন কিনে এনে দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রামুর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমি অসহায় মানুষ। নাতিকে কুকুর কামড় দেওয়ায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবো বলে কক্সবাজার হাসপাতালের এসেছিলাম মাত্র ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া নিয়ে। আসতেই খরচ হয়েছে ৬০ টাকা। এখানে এসে দেখি ভ্যাকসিন কিনে দিতে হচ্ছে। আর ১৪০ টাকা থেকে ভ্যাকসিনের জন্য ১২৫/১৩০ টাকা খরচ করলে ফিরবো কিভাবে? তাই পরে এখানে এক আত্মীয়ের ঘরে গিয়ে ১০০ টাকা টাকা ধার নিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোমিনুর রহমান বলেন, ‘মূলত আমাদের বহির্বিভাগে ভ্যাকসিন সেবাটি দেওয়া হয় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। আজকেও (গতকার) পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভ্যাকসিনের সংকট হওয়ার কথা নয়। তারপরও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট