মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া |
সবুজ মাঠ আর নানা প্রজাতির সবুজ বৃক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি দ্বিতল নান্দনিক ভবন। কারো দৃষ্টি এড়িয়ে যাবেনা। বনের চার পাশ ঘিরে রয়েছে নানা জাতের ফুলের সুবাসিত সুগন্ধি। ভবনের ভিতরে নান্দনিক কারো কাজে যে কাউকে মুগ্ধ করবে। উপরের তলায় পিলারবিহীন বিশাল হল রুমে এক সাথে ৫ থেকে ৭ শত লোক যে কোন বড় ধরনের অনুষ্ঠান অনায়াসে করতে পারবে। দ্বিতল ভবন আকষর্ণীয় টাইলস দ্বারা মন মাতানো নির্মাণ শৈলী প্রশংসার দাবি রাখে। খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে এ গীর্জা সহায়ক হয়েছে। ধর্মীয় কর্মকান্ড প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান পল্লী জুড়ে এমন গীর্জা নির্মিত হওয়ায় সবার মাঝে ব্যাপক আনন্দ উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। দৃষ্টি নন্দন এ গীর্জা দ্বিতল ভবন রোববার (১৮ জুন) সকালে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, জানান, ১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় নির্মিত হযেছে চন্দ্রঘোনা ব্যাপটিস্ট চার্চ এর দ্বিতল ভবন। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার নির্দেশে খ্রীস্টিান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় কর্মকাÐ প্রসার করতে এ ভবন নির্মাণ করা হয় অল্প সময়ের মধ্যে।
ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের সভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীস্টোফার অধিকারী জানান, সরকারি অনুদানে সারা বাংলাদেশে এ প্রথম ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায় চার্চের দ্বিতল ভবন নির্মিত করা হয়। যা আমাদের খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীদের অবাক করেছে। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম আজীবন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার প্রতি। আমাদেও এ চার্চ দ্বিতল ভবন নির্মাণ হওয়ায় খ্রীস্টিয়ান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সভাপতি দেশের সাবেক কৃতি ফুটবলার বিপ্লব মার্মা জানান, আমাদের ধর্মীয় কর্মকান্ড চালানোর জন্য একটি গীর্জার প্রয়োজন ছিল। গত বড় দিনে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার প্রতি দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি তা পূরণ করেছেন। চার্চের ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্টানের পরিচালক লিটন বড়ুয়া জানান, ধমীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা চার্চ ভবন নির্মাণে সময় এবং অর্থ দুটোই নির্মাণ কাজে ব্যয় করেছি। নির্মাণকাজ টেকসই হয়েছে। ভবনটি অবকাঠামোগতভাবে রড় সিমেন্ট কিংবা টাইলস সব কিছুই খুবই উন্নত মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়।
চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মারমা জানান, আমাদের ধমীয় কর্মকাÐ পরিচালনার জন্য চার্চের এ দ্বিতল ভবনটি খুবই ভূমিকা রাখবে। চার্চ ভবনটি আলোক বর্তিকা হয়ে সমাজে আলোর পথ দেখাবে।