স্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং সরকারি নীতির কারণে বছরের পর বছর ধরে তুরস্কের অনেক নতুন ভবনকে অনিরাপদ অ্যাখ্যা দিয়ে সতর্ক করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক এ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের কারণে মানুষের ব্যর্থতার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব আরও ভয়াবহ হয়েছে কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে তুরস্কের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর এবং দক্ষ তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দল থাকা সত্ত্বেও সরকার যতো দ্রুত অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিল, তা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য ভাগ্যকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, “এটা নিয়তির পরিকল্পনার একটা অংশমাত্র। এ ধরনের ঘটনা সসময়ই ঘটছে।”
উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকায় তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২৯ হাজার। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪ হাজার ৬১৭ এ পৌঁছেছে এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।