1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে বুদ্ধস্নানের মাধ্যমে মৈত্রী বর্ষণ সূচনা লামায় তামাক নিয়ে মারামারি : প্রাণ গেল বৃদ্ধার, আটক ১ পারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা তঞ্চঙ্গ্যা ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’র সাধারণ সভা ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণের অবস্থান কর্মসূচি লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তুমব্রুর শূন্যরেখায় আবারো গোলাগুলি, জনমনে আতংক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৪০২ বার পড়া হয়েছে
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ।

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রুতে দীর্ঘ ২৭ দির পর তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া শূন্যরেখায় গোলাগুলিতে মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের পর মিয়ানমারের দু’বিদ্রোহী গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির আওয়াজে উভয় পারে বসত ঘরের গৃহিনী থেকে মুসল্লী পর্যন্ত সকলে ভয়ে তটস্থ ছিলেন। এ সময় শূন্যরেখা সংলগ্ন তুমব্রু বাজারে আসা আলী আকবর,তুমব্রু গ্রামের গৃহিনী খদিজা,তুমব্রু বাজার মসজিদের মুসল্লী আবদুজাব্বারসহ অনেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পযর্ন্ত ৩ দিন তুমব্রুর শূন্যরেখায় গোলাগুলি ও আগুনের লেলিহান শূন্যরেখার রোহিঙ্গাসহ তুমব্রুর ৫ গ্রামের ৫ হাজার মানুষ আতংকিত ছিলো। সে সময় অনেকে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছিলো। পরে ২১ জানুয়ারির পর গোলাগুলি বন্ধ হয়ে পড়লে তারা পূনরায় ফিরে আসে স্ব-স্ব বাড়ি ঘরে।

তারা আরও বলেন, সেই ৩ দিনে শূন্যরেখায় আশ্রিত সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গা শূন্যরেখায় নির্মিত অস্থায়ী তাবু ও টিনের ছাউনী ঘর পুড়ে যাওয়ার কারণে তারা বাস্তুচ্যুত হয়ে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেন। যারা এখন ট্রানজিট ক্যাম্পে ঠাঁই পেয়েছেন।  সে সময় শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরটি পরিনত হয়েছিলো অঙ্গারে। সে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিবর্তে এটি পোড়া জুম খোলার মতো দেখাচ্ছিল তখন। এরপর গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার পর ২৭ দিন পর ২৮ দিনে এসে শুক্রবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবারো গোলাগুলির শব্দে সেই পুরোনো স্মৃতি গ্রামবাসীকে স্বরণ করিয়ে দেয়। তাদের ভয়ে তটস্থ ছিলো।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজকে একাধিক বার ফোন করে পাওয়া না গেলেও তার পরিষদের স্থানীয় মেম্বার শফিক আহমদ জানান, হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে তার এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। তিনি শুনেছেন এ গোলাগুলি শূন্যরেখায় হচ্ছে। আর তা-ও মিয়ানমারের দু’বিদ্রোহী স্বশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে। একটি আরকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গনাইজেশন(আরএসও) অপরটি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে পরস্পরের মুখোমুখি যুদ্ধ করে আসছে।

উল্লেখ্য, তাদের সংঘাতের জের ধরে কোনার পাড়া শূন্যরেখার সোয়া ৬ শত রোহিঙ্গা পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এ সব কারণে মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে গোলাগুলির ঘটনার পর এ সীমান্তে বিজিবির সতর্ক টহল দিতে দেখা গেছেও বলেও জানান স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট