পানছড়ি প্রতিনিধি ।
সিএনজি আর মোটর সাইকেল ছাড়া কোন গাড়ি চলেনা পানছড়ি-শনটিলা রাস্তায়। গাড়ি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী এই রাস্তাটি। গর্তে গাড়ি আটকে গেলে পুরুষ-মহিলা যাত্রী মিলে ঠেলে ঠুলে কোন রকম পার করে। জনসাধারণের কষ্ট আর আকুতিতে মানবিক কারণেই এ রাস্তায় আসি। পানছড়ি-শনটিলা রাস্তায় কথাগুলো জানালেন সিএনজি চালক বাবু। গাড়িতে বসা মহিলা যাত্রী বললেন, বিশ বছর ধরে শনটিলায় বসবাস করি। রাস্তায় হেটে যাওয়ারও কোন কুদরত নেই। গর্ভবতীদের নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। সরকারের কাছে জোর দাবি রাস্তাটির দিকে যেন বর্ষার আগেই নজর দেয়।
জানা যায়, ২০০৩ সালে ইট সলিং হওয়ার পর অদ্যবধি কোন সংস্কার হয়নি এই সড়কে। রাস্তায় নেই ইটের অস্তিত্ব। এই রাস্তা বেয়ে করল্যাছড়ি, বৈশাখ কুমার পাড়া, হলধর পাড়া, তাপিতাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের লোকের চলাচল। আশপাশ এলাকায় কোন বিদ্যালয় ও কলেজ না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও পানছড়ি কলেজ। শিক্ষার্থীরা শুকনো মৌসুমে ধুলো-বালি মাড়িয়ে পার হলেও বর্ষাকালে বিদ্যালয় আর কলেজে আসা-যাওয়া শুধু স্বপ্ন।
এলাকাটি উপজেলার শস্যভান্ডার হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি। উৎপাদিত পণ্যাদি ও মৌসুমি ফল-ফলাদি বাজারজাত করতে না পারায় চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণী।
স্থানীয়রা জানায়, ২৯৮নং আসনের সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের শনটিলা আগমনে এলাকাবাসীর মনে আজো সু-নজরের আশা জেগে আছে।
এ ব্যাপারে পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল খালেক বলেন, আমি যোগদানের পরেই পানছড়ি-শনটিলা রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। আসলেই খুব বেহাল দশা। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সহসাই একটা ভালো খবর আসবে।
দমদম, কালানাল গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শনটিলা রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি দমদম, কালানাল রাস্তাটিও যাতে মেরামতের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে পানছড়ি উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।