1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামা রাবার প্রসেসিং ফ্যাক্টরি : স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ৩ হাজার শিক্ষার্থী রাজস্থলীতে খিয়াং কল্যাণ সংস্থার নতুন কমিটি গঠন লামায় সড়কের পাশের একটি গাছে রক্ষা পেলো ৩২ প্রাণ লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আলৌকিক বেঁচে যাওয়া কন্যা শিশুটির পরিচয় সনাক্ত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন জেলা পরিষদ সদস্য রিমন

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ বন্ধের দাবীতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি লামা ছাত্র জনতা পরিষদের

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
২০১৫ সালে বান্দরবান ও পাশের কক্সবাজার জেলায় বিষবৃক্ষ তামাক চাষ হয়েছিল মাত্র ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। অথচ চলতি মৌসুমে শুধু বান্দরবান জেলাই তামাক চাষ হয়েছে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এ চাষের ফলে পরিবেশ হারাচ্ছে তার নিজস্ব ভারসাম্য, কমে যাচ্ছে মাটির গুনাগুন। উজাড় হয়ে গেছে বনাঞ্চল, এর প্রভাবে প্রাণীকুল হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও খাদ্য নিরাপত্তা। এতে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তামাক চাষীরা।
এদিক বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিষবৃক্ষ এ তামাক চাষ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তুলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারক লিপি দিয়েছেন- লামা উপজেলার ছাত্র জনতা পরিষদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে এ স্মারক লিপি তুলে দেন- ছাত্র জনতা পরিষদের নেতা মো. আবু কাউছার, মো. নাজমুল হাসান, মো. জামাল হোসেন, মো. নাজিম উদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মাসুদ পারভেজ ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সবুজ গুপ্ত ঘাতক নামে পরিচিত তামাক কোন খাদ্য নয়। এমনকি সচরাচর অর্থে কৃষকের ফসলও নয়। কৃষক তার নিজের প্রয়োজনে এই তামাক উৎপাদন করে না কিন্তু কৃষি জমিতেই চলছে তামাকের আগ্রাসন। বেসরকারী এক তথ্য মতে, অথচ তায় পরিবেশের সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে তামাক ও তামাকের বাই প্রোডাক্ট উৎপাদন বন্ধ করে বিকল্প চাষ পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। তারা আরও উল্লেখ বলেন, একজন কৃষকের পরিবেশ বিনষ্টকারী তামাক চাষ করে যে পরিমান লাভবান হয়, তার চেয়ে অধিক পরিমান লাভবান হওয়া যায় এমন কৃষিপন্য বর্তমান আছে, যা একটি উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব।
স্মারক লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট সাংবাদিক আলা উদ্দিন শাহারিয়ারের দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে বান্দরবান জর্জ আদালত কর্তৃক জারী করা এক আদেশে বান্দরবান জেলায় ১ হাজার হেক্টরের বেশি নয় জমিতে তামাক চাষ করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তৎসঙ্গে নদীর তীর ও পাহাড়ের কিনারায় তামাক চাষ এবং বন উজার করে তামাকের চুল্লি­ ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তামাক চাষ হচ্ছে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে। নদীর তীর, পাহাড়ের কিনারায় ও তামাক চুল্লির জন্য ব্যবহার হচ্ছে বনের কাঠ। এমনকি বনবিভাগ ও সরকারি প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়ে থাকে।

তামাক কোম্পানী কর্তৃক অগ্রিম লোন ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য উদ্দীপনার কারণে ক্ষতি আছে জেনেও চাষীরা তামাক চাষ করতে উৎসাহী হচ্ছে। এখনি যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলেও স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন ছাত্র জনতা পরিষদ। তবে তামাক লামা পৌরসভা এলাকার ছাগল খাইয়া গ্রামের তামাক চাষী শাহ জাহান, আবুল কালাম ও আনোয়ার হোসেন জানায়, পরিবেশ ও নিজেদের ক্ষতির কথা জানার পারও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে তামাক চাষ করতে হচ্ছে। সরকার বিকল্প চাষের উদ্যোগ নিলে তামাক চাষ ছেড়ে দিবেন তারা।


লামা ছাত্র জনতা পরিষদ নেতা মো. আবু কাউছার, নাজিম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় গড়া সামাজিক সংগঠন ‘লামা ছাত্র জনতা পরিষদ’। এ সংগঠন’র লক্ষ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে, দূনীতি প্রতিরোধ, সামাজিক অবক্ষয় রোধ, শিক্ষা-সাংস্কৃতির উন্নয়ন, মানব সম্পদ গঠন ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা। এ ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ পুরো দেশে বিষ বৃক্ষ তামাক চাষ বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে এ স্মারক লিপি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ছাত্র জনতা পরিষদের স্মারক লিপিটি মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে প্রেরণ করা হবে বলে জানান, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুপায়ন দেব। তিনি বলেন, ছাত্র জনতা পরিষদের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবী সমূহের যুক্তিকতা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট