সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারও জেলা শহরের হাফেজঘোনা স্টিলব্রিজ ও সাঙ্গু স্কুল এলাকায় মেস্কিছড়া খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ কয়েকদিন আগেই স্থানীয়দের অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ এবং অবৈধভাবে খালের ভেতরে তৈরি করা স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও দখল প্রক্রিয়া থামছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন অভিযোগ করে বলেন, মেস্কিছড়া খালের বেশির ভাগ অংশই দখল করেছে জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাস। তার দেখানো পথেই ঠিকাদার জসিম, জুয়েল, বিএনপি নেতা সাঈদ, পরিবহণ শ্রমিকনেতা অমল বাবুর ভাগনে শুভ, ব্যবসায়ী নজরুলসহ আরও কয়েকজন মিলেমিশে খাল দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। স্থানীয় হাফেজঘোনা বাসিন্দার চন্দন বিশ্বাস চান্দু বলেন, অর্থবিত্ত এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি হওয়ায় বাধা দেওয়ার পরও তারা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করেনি। খালের ভেতরে ৫/৬ ফুট পর্যন্ত দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। খালটি দখল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় রাস্তাঘাটগুলো ডুবে যায়। সাঙ্গু জুনিয়র হাইস্কুল ও হাফেজঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। খালটি দখলমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা সাথী রাণী, সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নলকূপ ও আশপাশের পাহাড়ি ঝরণার পানি শুকিয়ে যায়, তখন মেস্কিছড়া খালের পানিই তাদের দৈনন্দিন কাজের পানির চাহিদা মেটায়। মেস্কিছড়া খালের পানি দিয়ে থালাবাসন ধোয়া, গোসল করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন হতো। কিন্তু খালটি দখলের কারণে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির কষ্ট পাচ্ছে শ্রমজীবী দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। খালটি দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহের পথ সচল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
খাল দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, তারা ক্রয়কৃত জায়গার ওপরের স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, নিজের জায়গা ছাড়িয়ে খালের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরোজ জানান, খাল দখলের অভিযোগ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে নির্মাণ কাজ বন্ধে করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে খাল দখলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র- দৈনিক যুগান্তর।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত