1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
পারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা তঞ্চঙ্গ্যা ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’র সাধারণ সভা ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণের অবস্থান কর্মসূচি লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা

বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

 

আমিনুল ইসলাম খন্দকার।

বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন শুরু হয়েছে।নদীতে ফুল উৎসর্গের মাধ্যমে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিষু উৎসব শুরু হয়। পুরোনো বছরকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি হিসেবে নদীতে ফুল বিসর্জনের মাধ্যমে পালিত হয় এই উৎসব, যা ‘ফুল বিজু’ বা ‘ফুল বিষু’ নামে পরিচিত।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ফুল ভাসানোর জন্য তরুণ-তরুণীরা সাঙ্গু নদীর পাড়ে এসে ভিড় করেন।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিজু, মূল বিজু ও গোজ্যেপোজ্যে এ তিনদিন বিজু পালন করে থাকে।

আগামীকাল মূল অনুষ্ঠান চাকমাদের ঘরে ঘরে হরেক রকমের মিশ্রনে পাজন রান্না করে পরিবেশন করা হবে, নতুন কাপড় পরিধান করে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াবে তরুণ তরুণীরা। তাছাড়া সাধ্যানুসারে ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারোর সঙ্গে অতীতে বৈরিতা বা ঝগড়া, মনোমালিন্য থাকলেও এদিন সবাই ভুলে গিয়ে একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে পিঠাসহ হরেক রকম খাবার পরিবেশন করে।

বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো আমরা বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাঙ্গু নদীতে ফুল উৎসর্গ করে আমাদের এবারের বৈসাবির আয়োজন শুরু করেছি আর এতে চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মালম্বী যোগ দিচ্ছে।

বিষু উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নাজিব তংঞ্চগ্যা বলেন, ‘ফুল বিজুর পর সন্ধ্যায় রয়েছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সবাই অংশ নেবে। আমাদের ৩ দিনব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আশা করি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করতে পারব।

পাহাড়ে ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরতে আয়োজন করে থাকে নানা রকম কর্মসূচি। রঙ-বেরঙের পোষাকে শিশু-কিশোররা ঘুরে বেড়ায় বাড়ি-বাড়ি। এছাড়া পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলে ঐতিহ্যবাহী পাচনসহ মজাদার সব খাবার তৈরি করে অতিথিদের আপ্প্যায়ন। বিহারগুলোতে চলে ধর্মীয় প্রার্থনা।পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে চলবে এ বৈসাবি উৎসব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট