প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ৫:৩৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ২:১৭ অপরাহ্ন
বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। উপজেলা ও পাশের বমুবিলছড়ি ইউনিয়নসহ প্রায় আড়াই লাখ মানুষের ভরসাস্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জেনারেটর থাকলেও অজানা কারনে তা দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে বিদ্যুৎ গেলেই অন্ধকারে ঘুটঘুটে অন্ধকারে পরিণত হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মঙ্গলবার দিনগত রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের বিশেষ দু’একটি কামড়া ছাড়া বাকী সব কক্ষ ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে গেছে। মোবাইল ও টস লাইট ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। ভিতরে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় রোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে স্বজনদের দেখা গেছে হাতপাখা, কাগজ ও কাপড় নাড়িয়ে বাতাস করতে। রোগীর স্বজনরা জানান, বিদ্যুৎ যখন চলে যায় তখন হাতপাখাই তাদের ভরসা। তাদের দাবি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে ফ্যানগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে অন্তত রোগীদের কষ্ট কিছুটা কমে।
জানা যায়, পার্বত্য এ জনপদের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরটি নষ্ট হওয়ার পর দীর্ঘসময় যাবত কেন মেরামত হয়নি। এর কারণও জানা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগও নেয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র স্টাফরা।
লামা সদর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিদিন আকস্মিক বিদ্যুৎ চলে যায়, এসময় শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা বয়সের রোগীদের খুব কষ্ট হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সুস্থ হওয়ার চেয়ে গরমে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের রোগীরা। রোগীদের স্বস্তির জন্য যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা নাড়িয়েই বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বমু বিলছড়ি থেকে ছেলের চিকিৎসা নিতে আসা রেজাউল করীম জানান, বিদ্যুৎ যাওয়ার পর পুরুষ ওয়ার্ড এতটা অন্ধকার হয় যা বলার মত না। গরমের তীব্রতায় অসুস্থ রুগীর হাহাকার বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তাছাড়া চোরের ভয়ে আঁধারে আতঙ্ক অবস্থায় থাকতে হয়। এখানে মোবাইল সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক জিনিশ চুরি হয়েযায় প্রতিনিয়ত।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত এর কাছ থেকে রাতে বিদ্যুৎ যাওয়ার পর রুগীদের ওয়ার্ড ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদিন অফিসে আসেন অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে বিষয়টা জানাবো। তাছাড়া পুরাতন জেনারেটর আছে কিনা আমার জানা নেই। লোডশেডিং এ বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ হলে সম্ভব। তারপরও বিষয়টি ওপর মহলকে জানাবো।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত