1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে বুদ্ধস্নানের মাধ্যমে মৈত্রী বর্ষণ সূচনা লামায় তামাক নিয়ে মারামারি : প্রাণ গেল বৃদ্ধার, আটক ১ পারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা তঞ্চঙ্গ্যা ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’র সাধারণ সভা ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণের অবস্থান কর্মসূচি লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ

মহানবি (স) এর জন্মের ইতিহাস; ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ ১২ রবিউল আওয়াল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে

হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আওয়াল। যে মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রিয়নবী (স.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর ইতিহাস। এজন্য মাসটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। ‘রবিউল আউয়াল’ শব্দের অর্থ বসন্তের শুরু বা প্রথম বসন্ত। এ মাসকে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে বসন্তকালের শুরু লগ্ন হওয়ার কারণে। (রেসালায়ে নুজুম: ২২৯)

বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন মক্কার শিবে বনু হাশিম-এ সুবহে সাদিকের সময়। সেদিন ছিল সোমবার। সহিহ সূত্রে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবু কাতাদা আনসারি (রা.) বলেন,

سُئِلَ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالَ : ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ ، وَيَوْمٌ بُعِثْتُ – أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ

রাসুলকে (স.) প্রতি সোমবার রোজা রাখার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনে আমাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছে অথবা এ দিনে আমার উপর ওহি অবতীর্ণ হয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)

প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী দিনটি ছিলো রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। এই মত পোষণ করেছেন তার সাহাবি ইবনে আব্বাস (রা.) ও জাবের (রা.)। নবিজির (স.) প্রথম জীবনীকার ইবনে ইসহাকের মতও এটি।

রাসুলের (স.) জন্মের সময় তার মা আমিনা দেখেছিলেন, তার সামনে এমন একটি জ্যোতি উদ্ভাসিত হয়েছে, যার আলোয় শামের রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত আলোকিত হয়ে উঠেছে। ইরবাজ ইবনে সারিয়া থেকে বর্ণিত রাসুল (স.) বলেছেন,

إِنِّي عِنْدَ اللَّهِ مَكْتُوبٌ: خَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ آدَمَ لِمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ وَسَأُخْبِرُكُمْ بِأَوَّلِ أَمْرِي دَعْوَةُ إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَةُ عِيسَى وَرُؤْيَا أُمِّي الَّتِي رَأَتْ حِينَ وَضَعَتْنِي وَقَدْ خَرَجَ لَهَا نُورٌ أَضَاءَ لَهَا مِنْهُ قُصُورُ الشَّامِ

আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি তখনো শেষ নবি হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম যখন আদম (আ.) মাটির সাথে মিশে ছিলেন। আমার নবুয়তের প্রথম প্রকাশ ঘটে ইবরাহিমের (আ.) দোয়া এবং ইসার (আ.) ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে আর আমার মায়ের স্বপ্নে; তিনি আমাকে প্রসবকালে দেখেছিলেন, তার সামনে একটি জ্যোতি উদ্ভাসিত হয়েছে যার আলোয় সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত আলোকিত হয়ে উঠেছে। (মুসনাদে আহমাদ: ১৭১৯১)

এ ছাড়া নবিজির (স.) জন্মের সময় কিসরার রাজপ্রাসাদের স্তম্ভ ধ্বসে পড়া, অগ্নিপূজকদের আগুন নিভে যাওয়াসহ কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিলো বলে প্রসিদ্ধ থাকলেও এগুলোর নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র পাওয়া যায় না।

জন্মের পর নবজাতক মুহাম্মদকে (স.) দাদা আব্দুল মুত্তালিবের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি তাকে দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন। তাকে নিয়ে কাবায় প্রবেশ করেন, একটি দুম্বা জবাই করেন এবং তার নাম রাখেন ‘মুহাম্মদ’ অর্থাৎ প্রশংসিত।

নবিজির (স.) চাচারাও তার জন্মের খবরে অত্যন্ত আনন্দিত হন। যে দাসী নবিজির (স.) চাচা আবু লাহাবকে তার জন্মের সংবাদ দিয়েছিলো, তিনি তাকে মুক্ত করে দেন। তার নাম ছিল সুওয়াইবা। সুওয়াইবা রাসুলের (স.) প্রথম দুধ-মা; হালিমা সাদিয়ার (রা.) দায়িত্বে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই রাসুলকে (সা.) দুধপান করান।

তাই রবিউল আউয়াল এলে মুমিন হৃদয়ে বারবার নাড়া দিয়ে যায় প্রিয়নবীর (স.) কথা। তাঁকে নিয়ে কবিতা রচনা করা হয়। বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বই লেখা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। মুসলিম বিশ্বের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয় ঈদে মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবী (স.) মাহফিল। বিভিন্ন মুসলিম দেশে ১২ রবিউল আউয়াল সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশেও স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি ১২ রবিউল আউয়াল সরকারিভাবে ছুটির রেওয়াজ রয়েছে। এবার বাংলাদেশে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল হবে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, মহানবী (স.)-এর আদর্শের অনুসরণ কোনো বিশেষ দিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তাঁর আদর্শ নিত্যদিনের জন্য। সব যুগের ও সবসময়ের জন্য। অন্য যেকোনো আদর্শ তাঁর আদর্শের সামনে গৌণ।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‌‌‘যারা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।’ (সুরা আহজাব: ২১)

সুতরাং প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি কাজে অনুকরণ অনুসরণ করার জন্য মহানবী (স.)-এর সুন্নাহ রয়েছে। রয়েছে তাঁর সুমহান আদর্শ। তাই সে মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার মধ্যেই নবীপ্রেমের স্বার্থকতা লুক্কায়িত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মহানবীর (স.) সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট