শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি |
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে গুলাগুলি ও মটরশেল শব্দে এপারের মানুষের আতংক লেগেই আছে। দীর্ঘ মাস ধরে এপারের সীমান্তের মানুষগুলো স্বস্তিতে ছিল। ক্ষেতখামারে ভালো ভাবেই কাজ করে আসছিলো। উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মানুষ জন্য পুরাতন আতন্ক আবার নতুন করে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর সকালে থেকে থেমে থেমে ব্যাপক গুলিবর্ষণ শব্দ শোনা যাচ্ছিলো ওপারের মংডু সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেই সঙ্গে ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের বসত বাড়ীতে ছোঁড়ে এসে পড়ে একটি তাজা গুলি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক)মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি জানান, ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিটি এপারের স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসানের বসত ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে গুলিটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান জানান, ভোর সকালে সীমান্তের ওপারে কিছু গুলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলো। এর আগেও মাস তিন মাস পর এসব গুলাগুলি আওয়াজ শুনা যেত। তবে দীর্ঘমাস পর নতুন করে গুলির শব্দ শুনতে পাই। হঠাৎ ভোর সকালে ওপার থেকে ছোঁড়া গুলিটি আমার বসতঘরের টিনের চালের উপর এসে প্রকট আওয়াজ করে ঘর ডুকে পড়লে পরিবারের সবাই আতন্ক হয়ে পড়ি। তবে আলহামদুলিল্লাহ পরিবারের কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছোঁড়া গুলিটি উদ্ধার করে আলামত হিসেবে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকাটি সীমান্তে লাগোয়া। তুমব্রুর খালের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপস্থ তুমব্রু এলাকা। টানা বেশ কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে লড়াই–সংঘাত চলছে তাদের অভ্যান্তরে । এর আগেও অসংখ্য বার ওপার থেকে এপারে গুলি,মটর শেল ইত্যাদি। দীর্ঘ মাস ধরে মাঝে মধ্যে গুলাগুলি আওয়াজ শুনা গেলেও এবার নতুন করে ওপার থেকে ছোঁড়া গুলি এপারে এসে পড়ে বসতঘরের ভিতরে। সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথকভাবে বিজিবি ও পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিটি উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।