মূলত তিনটি কারণে বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। কারণ তিনটি হচ্ছে, পানি সংকট, উৎসুক জনতা ও বাতাস। ৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজারে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও ওয়াসাসহ অনেক বাহিনী ও সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।
নিজের মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও দেখিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, এখানকার উৎসুক জনতার ভিড়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখানে এত বেশি ভিড় ছিল যে কোনো জায়গায় গিয়ে আমাদের সদস্যরা কাজ করবেন সেই জায়গাটিও ছিল না। দ্বিতীয় সমস্যাটি ছিল পানির স্বল্পতা, আর তৃতীয় সমস্যাটি হলো বাতাস। বাতাসের কারণে এক জায়গার আগুন আরেক জায়গায় চলে যায়।
তিনি বলেন, আজকে আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ৮ জন সদস্য আহত রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ক্রিটিক্যাল অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আগুন লাগা মার্কেটটি ও ফায়ার সার্ভিসের অফিস রাস্তার এপাশ-ওপাশ। আমি ফায়ার সার্ভিসের ডিজি হিসেবে বলতে চাই, আমাদের ওপর কেন হামলা হলো? কারা করেছে? এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসার ও সব পদবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানুষের জন্য জীবন দেন। গত এক বছরে ১৩ জন ফায়ার ফাইটার শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, নিহত ১৩ ফায়ার ফাইটার অগ্নিবীর খেতাব পেয়েছেন। এছাড়া ২৯ জন আহত হয়েছেন। আজকে আমাদের আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। কেন বা কারা ফায়ার সার্ভিসের ওপর আঘাত আনলো তা আমার বোধগম্য নয়।
‘ফায়ার সার্ভিস সব দুর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে থাকে জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, কেন আমাদের সদস্যদের ওপর আক্রমণ? কেন আঘাত? এ আগুনের সুষ্ঠু তদন্ত আমরা করবো এবং আপনাদের জানাবো।’ যোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
এদিকে আজ ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বঙ্গবাজারে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা এই আগুন পুড়িয়েছে বঙ্গ বাজার ,বরিশাল মার্কেট, আদর্শ হকার্স মার্কেট ও ইসলামিয়া টাওয়ার। সূত্র-বিবার্তা ডটনেট