রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা মো. ফাহিম (২৫) অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার কদমরসূল এলাকা থেকে আজ বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড.ফরহাদ হোসেন।
গ্রেফতারকৃত ফাহিম রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং একই এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বিনা ভোটে নির্বাচিত মেম্বার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগী তরুণী থানায় দেওয়া অভিযোগে জানান, তিনি আনোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ১৭ এপ্রিল রাতে অভিযুক্ত ফাহিম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে মারধর করে আহত করে ফাহিম। পরে তিনি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ফাহিম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহণ করেছে কাউখালী থানা। মামলার পর আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা শেষে শনিবার ছাড়া পান। তার শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তার নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করে ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়।