লামা প্রতিনিধি |
মাটি, পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর তামাকের বিকল্প হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষের কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভা এলাকার বড়নুনারবিল পাড়ার কৃষক ফাতেমা বেগমের প্রদর্শনী প্লটে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প দিবসটির আয়োজন করে। দিবসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন, সুগারকেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুজন দে ও জুনিয়র কনসালটেন্ট বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গা অতিথি ছিলেন। এবারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬০ কৃষকের মাধ্যমে ৬০ বিঘা জমিতে ইক্ষু চাষ করানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব উপকারভোগী চাষিদেরকে প্রশিক্ষণ, সার, চারা ও কীটনাশক প্রদান করা হয় বলে জানান, প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন। তিনি বলেন, এক সময় দেশে ধানের ফলন বৃদ্ধির জন্য ইক্ষু চাষ কমে এসেছিল। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আখ চাষের কারণে এ চাষে কৃষকদের সুদিন ফিরে এসেছে। অনেক কৃষকই বর্তমানে ইক্ষু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
এদিকে কৃষকদের উদ্দেশ্যে লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, তামাক চাষের তুলনায় ইক্ষু চাষে খরচ ও পরিমশ্রম অনেক কম। আর লাভও দ্বিগুন। এছাড়া ইক্ষুর শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত সবই মানুষের উপকারে আসে। কিন্তু তামাক চাষের ফলে জমি উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি তামাক চাষী নিজের, পরিবারের অন্য সদস্যদের ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে থাকে। তাই সবাইকে নিজের, পরিবেশের ও দেশের কথা চিন্তা করে তামাক চাষ পরিহার করে বিকল্প ইক্ষু চাষে এগিয়ে আসতে হবে।