মুহাম্মদ এমরান, লামা।
বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় উপজেলায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল’র দশম শ্রেণির ছাত্রী সামিরা সোলতানা সোহাগ।
(২০ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে লামা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পিছনে ফেলে উপজেলায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলের ছাত্রী সামিরা।
(২১ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মঈন উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা বান্দরবান,উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলার সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন’র হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলের ছাত্রী সামিরা সোলতানা সোহাগ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (বিকেএ) কতৃক আয়োজিত মেধা বৃত্তি ২০২৩ ইং এর বিভাগভিত্তিক (চট্টগ্রাম) বিভাগে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করে ১২ জন শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
বান্দরবানের লামা উপজেলার অন্তর্গত ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল।
০১-০১-২০১৮ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।
সর্বপ্রথম নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও বর্তমানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু হয়েছে বিদ্যালয়টি’তে।
দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে খুশি অভিভাবকরা।অভিভাবকরা বলেন, অতীতে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের এলাকায় ছিলোনা। বর্তমানে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়ে আমরা খুশি। আমাদের সন্তানেরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কিছু শিখতেছে।
তাঁরা আরো বলেন, হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল এর শিক্ষকমণ্ডলী খুবই আন্তরিক। তাদের আন্তরিকতা দেখে আমরা মুগ্ধ। খুবই যত্নসহকারে এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে থাকেন। আমাদের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল।
উপজেলা পর্যায়ে এমন সাফল্য দেখে খুশি হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল সংশ্লিষ্ট সকলে।