1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে বুদ্ধস্নানের মাধ্যমে মৈত্রী বর্ষণ সূচনা লামায় তামাক নিয়ে মারামারি : প্রাণ গেল বৃদ্ধার, আটক ১ পারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা তঞ্চঙ্গ্যা ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা অনুষ্ঠিত: বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব লামায় মৌচাক কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’র সাধারণ সভা ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণের অবস্থান কর্মসূচি লামায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২ যুবক লামা উপজেলা বিএনপির সাথে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত লামায় স্বপ্ন কানন বিদ্যাপীঠের এসএসসি প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামায় তামাকের বিকল্প ৫০জন কৃষক পেলেন কারিতাসের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ লামায় আবারো তামাক চাষি- শ্রমিকসহ ৯ জন অপহরণ আলীকদমে ইউবিএম ইটভাটায় অভিযান: ৫০,০০০ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ

লামায় প্রধান শিক্ষক পদশূন্য রেখেই চলছে ১৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম ও উন্নয়ন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

মো. নুরুল করিম আরমান |
একটি বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য রেখেই চলছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সহকারী শিক্ষক দিয়েই করানো হচ্ছে প্রধান শিক্ষকের যতো কাজ। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম ও বিদ্যালয় উন্নয়ন। বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো দ্রুত পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক, অভিভাবক এবং সচেতন মহল।
জানা যায়, ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পার্বত্য লামা উপজেলা। এই উপজেলায় বর্তমানে রয়েছে ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নেই প্রধান শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার কোমলমতী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এমনিতেই পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় যাতায়াতে দুর্গমতা, অভিভাবকদের অসচেতনতা ও আর্থিক দূর্বলতায় এখানের শিক্ষা অনেক পিছিয়ে। তার উপর সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চলছে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এছাড়া উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ৬টি। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক শূণ্য থাকায় ওইসব বিদ্যালয়গুলোতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষকহীন বিদ্যালয়গুলো হলো- পাহাড়িকা, রামথুইপাড়া, নাইক্ষ্যংমুখ, লেমুুপালং, কম্পোনিয়া, চিংকুমপাড়া, বড়কলারঝিরি, রোয়াজাপাড়া,ডিগ্রীখোলা পূর্বচাম্বী, ক্রংতংপাড়া, পূর্বচাম্বি মুসলিমপাড়া, এম হোসেন পাড়া, বটতলীপাড়া, কলারঝিরি মংপ্রু পাড়া, জোড়মনিপাড়া, ডলুছড়ি ও আন্দারী জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষকহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক জসিম উদ্দিন, আবদুল হক, মনছুর আলী, আবদুর রহমানসহ অনেকে জানায়, যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, তিনি মূলত ওই বিদ্যালয়েরই একজন সহকারী শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা সেমিনারে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। যার জন্য তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত যেতে পারেন না। যার ফলে আমাদের বাচ্চাদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে।
রুপসীপাড়া ইউনিয়নের কলারঝিরি মংপ্রুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিদ্যালয় ও অফিসের কাজের পাশাপাশি স্কুলে ক্লাসও নিতে হচ্ছে। অনেক সময় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব এবং সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব একসাথে পালন করতে গিয়ে শ্রেণি কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এরপরেও শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। একই কথা জানালেন, ক্রংতং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাজীব চক্রবর্তী, এম হোসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াবুল হক ও নাইক্ষ্যংমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইছহাক।
প্রধান শিক্ষক নেই এমন কয়েকটি বিদ্যালয়ের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি আমাদের মতোই একজন সহকারী শিক্ষক। তাই অনেক ক্ষেত্রে সহকারি শিক্ষকই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মানতে অনীহা প্রকাশ করেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘœ ঘটছে। তাই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক পদায়ন খুবই জরুরী।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ^াস বলেন, উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়া এখনো ৬টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। যার জন্য প্রশাসনিক কর্মকান্ডসহ বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিমাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক পদায়ণের জন্য তালিকা পাঠিয়ে আসছি। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক পদায়ণ করবেন। এতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা কেটে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট