1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র প্রথম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধণা লামা রাবার প্রসেসিং ফ্যাক্টরি : স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ৩ হাজার শিক্ষার্থী রাজস্থলীতে খিয়াং কল্যাণ সংস্থার নতুন কমিটি গঠন লামায় সড়কের পাশের একটি গাছে রক্ষা পেলো ৩২ প্রাণ লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আলৌকিক বেঁচে যাওয়া কন্যা শিশুটির পরিচয় সনাক্ত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন জেলা পরিষদ সদস্য রিমন চকরিয়ার খুটাখালী কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন-সালাহউদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম- কক্সবাজার সড়কে আবারো ঝরলো ৭ প্রাণ লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২ ঈদুল ফিতরের দিনে কক্সবাজার- চট্টগ্রাম সড়কে দুর্ঘটনায় ঝরলো ৫টি প্রাণ লামায় ইটভাটায় অভিযানে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা লামায় দরিদ্র বেকার নারীরা পেল জিএএসডি’র সেলাই মেশিন সাতকানিয়ায় বাস খাদে পড়ে হেলপার নিহত

সন্দ্বীপে স্বাস্থ্যসেবার করুণদশা, চিকিৎসা দেন ঝাঁড়ুদার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে

সাইফ রাব্বী, সন্দ্বীপ |

মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা, যার ছিঁটেফোঁটাও নেই সন্দ্বীপে। নানা অনিয়ম-অভিযোগ সন্দ্বীপ স্বাস্থ্য বিভাগের দিকে। দায়িত্বশীলদের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে শুনতে হয় নানা যুক্তি এবং জনগণকে দেখানো হয় আইন আদালত। জনবল সংকটের তালবাহানায় সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্যখাত অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই দ্বীপে কর্মরত ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে চেম্বার না করে ব্যস্ত থাকেন বেসরকারি চেম্বার নিয়ে। কেউ ব্যস্ত শহরে পড়াশোনায়। যারা আছেন কর্মস্থলে তারাও অফিসের চেয়ে সরকারি বাসায় বেশি থাকেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসব অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও স্বাস্থ্য বিভাগের বড় কর্তাদের ঘুম যেন ভাঙছেই না। ব্যবস্থা গ্রহণ করছি বলেই হাফ ছেড়ে বেঁচে যান। সন্দ্বীপে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। জানা যায়, ২ বছরের শিশু সায়েমের শ্বাসকষ্ট হলে পরিবার তাকে সরকারি গাছুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার জাহিদুল মাওলা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঘুমাতে চলে যান। পরে শিশুটি মারা যায়।
সায়েমের মা রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘সামান্য কাশি ও বুকে কফের সমস্যায় ছেলেকে রাত ২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। ডাক্তার, নার্স সবাই তখন ঘুমে। ঝাড়ুদার আনোয়ারের মাধ্যমে অনেক ডেকে ডাক্তারকে ঘুম থেকে তোলা হয়। কয়েকটি ওষুধ লিখে দিয়ে ডাক্তার আবার ঘুমিয়ে পড়েন। নার্সকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার পর নার্স তাড়াহুড়ো করে বাচ্চাকে অক্সিজেন লাগিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। অক্সিজেন খুলে গেলে নার্সকে বলতে গেলে তিনি বলেন, আমি কী করবো? আমার দায়িত্ব শেষ। অক্সিজেন লাগানোর পরও বাচ্চার অবস্থা ভালো না হওয়ায় ডাক্তার-নার্সকে অনেক ডাকার পরও তারা আসেননি। ঝাড়ুদার আনোয়ার অক্সিজেন বন্ধ করে বাচ্চাকে নেবুলাইজার দিয়েছে। সকাল ৫টার দিকে আনোয়ার দ্বিতীয়বার নেবুলাইজার দেওয়ার পর বাচ্চা আমার কোলে সোজা হয়ে যায়। এ সময় আমাদের চিৎকার শুনে ডাক্তার আসেন। তিনি ছিলেন দাঁতের ডাক্তার। কিছু বুঝতে না পেরে তিনি বারবার অন্য ডাক্তারদের ফোন দিচ্ছিলেন। অন্য ডাক্তাররা এসেছে দুই ঘণ্টা পর। ততক্ষণে আমার বাচ্চা আর নেই।’
ঝাড়ুদার দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে সন্দ্বীপ গাছুয়া হাসপাতালে। বিষয়টি আনোয়ার নিজে স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরে হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। রোগীদের ক্যানোলা লাগাই। ড্রেসিং করি। মাঝে-মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মেডিকেল সার্টিফিকেট দিই।’
এ বিষয়ে তখন কর্তব্যরত ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের সাথে থাকতে থাকতে শিখে গেছে।’
সেদিনই দেখা গেছে সাংবাদিকের সামনে ঝাড়ুদার আনোয়ারকে দিয়ে ইমারজেন্সি রোগীর ড্রেসিং এর কাজ করছেন।
এসব বিষয়ে কথা বলতে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাসকে বার বার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে ডাক্তারের কম্পাউন্ডার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘স্যার বৃহস্পতিবার ৫টায় চট্টগ্রাম গেছেন। কারণ শুক্রবার সরকারি ছুটি। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার তিনি বাড়িতে যান।’
চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ডা. শাখাওয়াৎ উল্যাহ বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্টেশন ছেড়ে যাওয়া উচিত না। ছেড়ে গেলেও একজনকে লিখিত দায়িত্ব দিতে হবে। সন্দ্বীপে এইসব নিয়ম ফলো করা হচ্ছে না। ডাক্তার এবং বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ কোন বিধিবিধান মতো চলছেন না। যারা দায়িত্বরত আছেন তাদের কোনো আন্তরিকতা নেই। চাকরি করার আছে করছেন। দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে নার্সরা আসেন। তারা খারাপ ব্যবহার করেন, কারণ যাতে তাদের বদলি করে দেওয়া হয়। আমি বিভাগীয় দায়িত্বে থাকাকালীন এমন অনেক অভিযোগ এসেছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ঘটতো যদি সন্দ্বীপ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ না হতো। দ্বীপটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক এবং সিভিল সার্জন সব সময় যেতে পারেন না। উনারা তদারকি করতে পারলে সমস্যার সমাধান হতো।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট