মুহাম্মদ এমরান, ইয়াংছা |
তারুণ্যের উৎসব’২০২৫ উপলক্ষ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলে বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী স্কুলের মাঠে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মুহাম্মদ এমরান’র সঞ্চালনায় ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. ফরিদুল আলম বাবলু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম রিমন।
এতে লামা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো. নুরুল আনোয়ার, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আব্দু রহিম, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. শফিউল আলম, ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুফিজ উদ্দীন বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হায়দারনাশী মুহাম্মুদিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মো. এরশাদুল ইসলাম, ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুপেশ চন্দ্রসহ সাংবাদিক, অবিভাবক, শিক্ষার্থীসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল নাঈম তাসপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম রিমন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রম আমি অন্য কোথাও দেখিনি। আমি তাদের সফলতা কামনা করছি। সেইসাথে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎসহ সফলতা কামনা করি। এবং আমি সবসময় এই বিদ্যালয়ের পাশে আছি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন আছে। কথায় আছে “সুস্থ দেহ সুস্থ মন”। ছাত্র ছাত্রীরা খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ঘটাতে পারে। একটা খেলায় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে উন্নত শিখরে আরোহণ করে। পারে মাদকমুক্ত ও মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে। সেজন্য সরকার এক্সট্রা কারিকুলাম বাদ দিয়ে বর্তমানে কো- কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিস চালু করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি আজ শিক্ষকদের হৃদয়ের কান্না দেখেছি। লামার মধ্যে যদি কোথাও ভবন আসে তাহলে সেটি হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলে প্রথম আসবে। অনুষ্ঠানে শেষে ২০২৪ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,শিক্ষিকার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।