নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি |
তিন দিনের মাথায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জামছড়ি-তুমব্রু সীমান্তের ৪৬ নম্বর পিলার এলাকার বিপরীত দিক থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে। শনিবার ( ৬ এপ্রিল) সকাল ৭.৫৫ মিনিট থেকে পৌনে ৮টা পর্যন্ত এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যে ক্যাস্প এলাকায় থেকে এ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় তা জান্তা বাহিনী থেকে দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। এখন তারাই এ ক্যম্পে অবস্থান করছেন দীর্ঘ ১ বছর। তবুও কেন এ গোলাগুলি এ নিয়ে আরকান আর্মির একটি সূত্র দাবী করেন, জান্তা বাহিনীর টহল দল থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুটলে তারাও পাল্টা জবাব দেয়।
অপরদিকে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু ও চাকঢালা সীমান্তের ওপার থেকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শুনতে পান সীমান্তবাসী।
শুক্রবার গভীর রাত ২টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ১৫ টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন গ্রামের লোকজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, চাকঢালার ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম ও তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী আবদুর রহমান আর তুমব্রু পশ্চিমকূলের বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেন।
মন্ডু টাউনশিপের একটি ব্যাটালিয়ন এএ’র নিয়ন্ত্রণে
মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার বুথিডং টাউনশীপে এর LIR – 564 সেনা ব্যাটলিয়ানটি অবশেষে বিদ্রোহী আরকান আর্মি দখলে নিয়ে নিয়েছে বলে দাবী করেন বিদ্রোহী আরকান আর্মি (এএ)।
তারা বলেন, এ ব্যাটালিয়নটি নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন তারা সেনাদের সাথে পাল্টা পাল্টি যুদ্ধ করে আসছিলো। শেষ পর্যন্ত গত ৫ এপ্রিল রাতে বিদ্রোহী গ্রুপ AA কমান্ডোরা মন্ডু টাউনশীপের লিয়ার [৫৬৪] ব্যাটালিয়নটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেন।
বিদ্রোহী গ্রুপ ব্যাটালিয়ন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর সেনাদের ৮০টি মৃত লাশ সনাক্ত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন এ সময়।
একই সাথে বিদ্রোহী গ্রুপের কিছু সদস্যও হতাহত হয়েছে জানিয়েছেন। বিদ্রোহী গ্রুপ সেনাদের অনেক অস্ত্র গোলাবারুদ খাদ্য রসদ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। বর্তমানে সেনা ব্যটলিয়ানটি বিদ্রোহী গ্রুপ AA এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
পক্ষান্তরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকা ৩৩ পিলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের ভিতর থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ এবং মাঝেমধ্যে আটিলারি মর্টার শেল বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে তুমব্রু এলাকায় এসেছে। শুক্রবার গভীর রাতে এবং সন্ধ্যার পর থেকে এ আওয়াজ শুনতে পান গ্রামবাসী।