বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম :
কক্সবাজারের দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে ও এর আগের রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নবী হোছাইন চৌধুরী। তিনি চকরিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের অনুসারী বলে জানা গেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার সবুজ হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নবী হোছাইন চৌধুরী কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে। এর আগে ২০২৪ সালের ৮ জুলাই কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ তাকে কারাগারে পাঠান।
নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, গরুচুরি, অপহরণ, জমি দখল এবং চিংড়িঘের দখলের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া, লামা, আলীকদম, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, পেকুয়া ও বাঁশখালী থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি দক্ষিণ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবী হোছাইন চৌধুরী বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার সবুজ হোটেলে অবস্থান করেছেন—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকবাজার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, চকরিয়ায় গরু-মহিষ চুরির পর শাহারবিল এলাকায় নবী হোছাইনের ডেরায় মজুদ করা হতো। দুই বছর আগে গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত দুই যুবক তার দলের সদস্য ছিলেন। নবী হোছাইন ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তার অপরাধ কার্যক্রম আরও বেড়ে যায়।
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, নবী হোছাইনকে গ্রেপ্তারের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেনকে চট্টগ্রাম থেকে গতরাতে গ্রেফতার করা হয়।